Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

মাননীয় প্রতিমন্ত্রী

মাননীয় প্রতিমন্ত্রী

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের
প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান-এর
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

monnujan_mp

বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ১৯৫৩ সালের ১ জানুয়ারি খুলনা জেলার দিঘোলিয়া এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৃত আলহাজ্ব মোসলেম মিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর স্বামী অধ্যাপক আবু সুফিয়ান ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজকর্মী । মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। রাজনৈতিক জীবনে অধ্যাপক আবু সুফিয়ান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুলনা জেলা ইউনিটের শ্রম সচিব এবং ৪২ টি ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

 

বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তীর্ন হন। সে সময় তিনি খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এবং ৪২ টি ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৮৩ হতে ১৯৯৬ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ থেকে অদ্যাবধি আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

 

বেগম মন্নুজান সুফিয়ান তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে সরকারের বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে মহিলা সংরক্ষিত আসনে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালে  অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন হতে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ হতে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়া ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

 

বেগম মন্নুজান সুফিয়ান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত আছেন। এ ছাড়া, বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে তাঁর রয়েছে গভীর সম্পৃক্ততা।